মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ রিফাত শরীফকে ছাড়াই প্রথম ঈদ উদযাপন করছে তার পরিবার। একমাত্র ছেলেকে ছাড়া ঈদের দিনেও পরিবারটিতে আনন্দ নেই।
গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে পরে স্ত্রী মিন্নিকেও আসামি করা হয়।
রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বলেন, প্রত্যেক ঈদে রিফাত মা ও বাবাকে সালাম করে ঈদগাহে নামাজ পড়তে যেতো। ফিরে এসে বোনকে নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করতো। পাড়ার শিশুরা রিফাতকে পছন্দ করতো। শিশুদের জন্য ওর পকেটে সবসময় চকলেট থাকতো।
তিনি বলেন, আজ ঈদের দিন ওই মা সকালে কবরের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করেছে। দোয়া করেছে রিফাতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাতের জন্য।
রিফাত হত্যার বিচারের রায় এখনো না হওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রায়ের অপেক্ষায় তিনমাস কেটে যাচ্ছে; কবে নাগাদ রায় হবে তাও অনিশ্চিত।
রিফাতে একমাত্র বোন মৌ বলেন, ‘‘ভাইয়া নামাজ পড়ে এসে আমার হাতে তৈরি করা নুডলস খেত। নুডলস ভাইয়ার পছন্দ ছিল। ও মারা যাওয়ার পর থেকে আমি আর নুডলস খেতে পারি না, কান্না চলে আসে।
তিনি বলেন, ‘‘ভাইয়া মারা যাওয়ার পর থেকে মা অসুস্থ, বাবার হার্টের অসুখ বেড়েছে। আমরা ভালো নেই। ভাইয়ার হত্যার রায়টা পেলেও অন্তত একটু স্বস্তি পেতাম।
রিফাত হত্যার পর মূল অভিযুক্ত নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। বাকি ২৪ জন আসামির বিরুদ্ধে দুটি চার্জশিট দেয় পুলিশ। বিচারিক কার্যক্রম শেষে মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
Leave a Reply